নিজস্ব প্রতিবেদক
শনিবার বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চের স্বাক্ষরের পর ৭১ পৃষ্ঠার রায় প্রকাশ করেছে হাইকোর্ট। পূর্ণাঙ্গ রায়ে বলা হয়েছে, ‘হোমিওপ্যাথি ও ইউনানি পড়ে কেউ তার নামের আগে ‘ডাক্তার’ পদবি ব্যবহার করতে পারবে না’।
আদালত রায়ে বলেছেন, দুঃখজনকভাবে এটি লক্ষণীয় যে, এখানে বাংলাদেশ মেডিক্যাল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন, ২০১০ এর ২৯ ধারা অনুযায়ী বিএমডিসি এর নিবন্ধনভুক্ত মেডিক্যাল বা ডেন্টাল ইনস্টিটিউট কর্তৃক এমবিবিএস অথবা বিডিএস ডিগ্রিধারী ছাড়া অন্য কেউ তাদের নামের আগে ডাক্তার পদবি ব্যবহার করতে পারবেন না। সেখানে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের ২০১৪ সালের ৩ সেপ্টেম্বরে সংশোধিত বিজ্ঞপ্তিতে ‘অল্টারনেটিভ মেডিক্যাল কেয়ার’ শীর্ষক অপারেশনাল প্লানের বিভিন্ন পদে কর্মরত হোমিওপ্যাথি, ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক কর্মকর্তাদের স্ব-স্ব নামের পূর্বে ডাক্তর (ডা.) পদবি সংযোজনের অনুমতি প্রদান করেছে, যা এক কথায় আইনের কর্তৃত্ব ব্যতিত তথা বেআইনি। এছাড়া বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক বোর্ড কর্তৃক ২০২০ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি জারিকৃত বিজ্ঞপ্তিতে বিভিন্ন শাখায় হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকদেরও তাদের নামের পূর্বে পদবি হিসেবে ডাক্তার ব্যবহারের অনুমতি প্রদান করাও বেআইনি।
এতে বলা হয়, বিকল্পধারার চিকিৎসা পদ্ধতির পেশাধারীরা নামের পূর্বে ১) ইনটেগ্রেটেড ফিজিশিয়ান, ২) কমপ্লিমেন্টারি ফিজিশিয়ান, ৩) ইন্টেগ্রেটেড মেডিসিন প্রাকটিশনার এবং ৪) কমপ্লিমেন্টারি মেডিক্যাল প্রাকটিশনার পদবি ব্যবহার করতে পারেন। পাশের দেশ ভারতেও বিকল্পধারার চিকিৎসকরা (ডা.) লিখতে পারে না।
সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৫ মোতাবেক রাষ্ট্রের অন্যতম সাংবিধানিক মৌলিক দায়িত্ব হলো জনগণের জীবন ধারণের মৌলিক উপকরণ চিকিৎসার ব্যবস্থা করা। এছাড়াও সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৮ মোতাবেক অন্যতম প্রাথমিক কর্তব্য হিসেবে রাষ্ট্র জনস্বাস্থ্যের সার্বিক উন্নয়নে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩২ নাগরিকের জীবন ধারনের অধিকারকে নিশ্চিত করেছে। সাংবিধানিকভাবে প্রত্যেক ব্যক্তির জীবন তথা বেঁচে থাকার অধিকার সংরক্ষিত। সঠিক চিকিৎসা না পেলে নাগরিকের জীবনহানি অবধারিত। সুতরাং সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩২ মোতাবেক চিকিৎসা পাওয়া প্রত্যেক নাগরিকের মৌলিক অধিকার।-রায়ে বলেন হাইকোর্ট।
Thanks for sharing. I read many of your blog posts, cool, your blog is very good.