মো. জোবায়ের হোসেন
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ইজ্জত আলী জনি নামের এক নেতাকে বহিষ্কার করেছে মির্জাপুর উপজেলা আওয়ামীলীগ। কিন্তু বহিষ্কার আদেশের ওই পত্রে বহিষ্কৃত ইজ্জত আলী জনিকে একটি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সদস্য হিসেবে উল্লেখ্য করা হলেও তিনি নিজেকে উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ দপ্তর সম্পাদক হিসেবে দাবি করেন।
এদিকে ২০১৭ সালে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কর্তৃক স্বাক্ষরিত ভিন্ন দুটি তারিখে অনুমোদন দেয়া কমিটি অনুয়ায়ী উভয় পক্ষের দাবিই সঠিক। ফলে প্রশ্ন উঠেছে আসলে মির্জাপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের কোন কমিটি বৈধ বা কোন কমিটি চূড়ান্ত।
প্রসঙ্গত, গত ২০১৭ সালের ১৮ অক্টোবর টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান খান ফারুক ও সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম জোয়াহের এমপি স্বাক্ষরিত ৭১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির কোথাও ইজ্জত আলী জনির নাম না থাকলেও একই বছরের ১৯ অক্টোবর টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কর্তৃক স্বাক্ষরিত আরেকটি ৭১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির তালিকায় সহ দপ্তর সম্পাদক হিসেবে রয়েছেন ইজ্জত আলী জনি।
এদিকে, বহিষ্কৃত এই নেতা নিজেকে উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-দপ্তর সম্পাদক হিসেবে পরিচয় দিয়ে দলীয় কর্মকা সক্রিয় ছিলেন। বিভিন্ন রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে মির্জাপুর উপজেলা আওয়ামীলীগ ও জেলা আওয়ামীলীগের নেতাদের সাথে দলীয় কর্মকাÐের প্রমাণ রয়েছে। সহ দপ্তর সম্পাদক পদ পরিচয়ে রয়েছে ব্যানার ফেস্টুন। কিন্তু এতোদিন এনিয়ে দৃশ্যত কার্যকরি কোন প্রতিক্রিয়া দেখায়নি মির্জাপুর উপজেলা আওয়ামীলীগ।
এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামীলীগ কর্তৃক বহিষ্কৃত ইজ্জত আলী জনি বলেন, আমি রাজনৈতিক গ্রুপিংয়ের শিকার। সামনে আমার ইউনিয়নে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। সেই নির্বাচনে আমি যেন দলের মনোনয়ন না পাই সেজন্য একটি পক্ষ আমার পিছনে লেগেছে। এই বহিষ্কারাদেশ অবৈধ।
মির্জাপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক জহিরুল ইসলাম জহির ইজ্জত আলী জনির বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মির্জাপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের বেশ কয়েকটি কমিটি হয়েছিল। কিন্তু যে কমিটিতে ইজ্জত আলী জনির নাম নেই সেই কমিটিই চূড়ান্ত।
টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম জোয়াহের এমপি বলেন , স্থানীয় দায়িত্বপ্রাপ্তরা সুপারিশ করতে পারেন কিন্তু কেন্দ্র ছাড়া বহিষ্কার করার এখতিয়ার কারো নেই। মির্জাপুরে কোন কমিটি বৈধ সে ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি সচিবালয়ে রয়েছেন জানিয়ে পরে কথা বলবেন বলে জানান।
I don’t think the title of your article matches the content lol. Just kidding, mainly because I had some doubts after reading the article.