মো. জোবায়ের হোসেন
গত ৩রা আগস্ট উপজেলার উয়ার্শী ইউনিয়নের উয়ার্শী গ্রামে রাস্তার পাশ থেকে উদ্ধার হওয়া সেই হালিমের মৃত্যু রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। মামলার মাত্র ১২ দিনের মধ্যে অজ্ঞাত হিসেবে উদ্ধার হওয়া হালিমের পরিচয় শনাক্ত ও হত্যার রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ।
সোমবার (১৬ই আগস্ট) ওই হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে শিউলি (৩৫) নামের এক বিবাহিত নারীকে তার বাবার বাড়ি নাটোর থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর ওই নারী টাঙ্গাইল জেলা বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রুপন কুমার দাসের আদালতে হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলে সন্ধ্যায় জানিয়েছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. নাসিরুজ্জামান।
আদালতে দেয়া জবানবন্দীসূত্রে পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তারকৃত শিউলি আক্তারের স্বামী শাহিন আলম যিনি পেশায় একজন ড্রাইভার। অপরদিকে খুন হওয়া আব্দুল হালিমও একজন ড্রাইভার। সেইসূত্রে নিহত হালিম ও শাহিন আলমের সঙ্গে একটি সম্পর্ক তৈরি হয়। ধামরাইয়ের কালামপুরে তাদের ভাড়া বাসায় যাতায়াত ছিল আব্দুল হালিমের। সেই সম্পর্ক ও যাতাযাতের রেশ ধরেই শাহিন আলমের স্ত্রী শিউলির সাথে পরিকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন আব্দুল হালিম। বিষয়টি টের পেয়ে যান শাহিন আলম। এরপর স্ত্রী শিউলিকে সাথে নিয়ে আব্দুল হালিমকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেয়ার পরিকল্পনা করেন শাহিন আলম। পরিকল্পনা মোতাবেক গত ২রা আগস্ট বিকেলে হালিমকে বাড়িতে ডেকে নেন শিউলি। সেখানে কৌশলে তাকে ঘুমের ঔষধ খাইয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে শিউলি ও তার স্বামী। হত্যার পর রাতের আধারে তার লাশ টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার উয়ার্শী ইউনিয়নের উয়ার্শী গ্রামের রাস্তার পাশে ফেলে যান তারা।
নিহত হালিমের ছেলে ও মামলার বাদী কাওছার মিয়া বলেন, গ্রেপ্তারকৃত শিউলিদের পরিবারের সাথে আমার বাবার সুসম্পর্ক ছিল। মাঝে মাঝে আব্বা তাদের বাসায় যেতেন। কিন্তু পরকীয়ার ব্যাপারে আমরা কোন কিছু অবগত ছিলাম না।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মির্জাপুর থানার উপ পরিদর্শক নাসিরুজ্জামান বলেন, তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় খুব অল্প সময়ের মধ্যে এই হত্যার রহস্য উন্মোচন করা সম্ভব হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতর স্বামী পলাতক রয়েছে। আমরা তাকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি।
Leave a Reply