তুষার সান্যাল
টানা বৃষ্টি ও বংশাই-লৌহজং নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। ডুবে গেছে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের (সংযোগ) ১২ আঞ্চলিক সড়কসহ শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
বন্যার কবলে পড়েছে কুমুদিনী হাসপাতাল এবং উপজেলা সদরের শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম। অস্বাভাবিক হারে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নতুন নতুন এলাকা বন্যা কবলিত হচ্ছে। উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেছেন বলে জানিয়েছেন। ভাতগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃআজহারুল ইসলাম বলেন, তার ইউনিয়ননের প্রায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই বন্যার পানিতে প্লাবিত। তিনি আরো বলেন তার ইউনিয়নের সব আঞ্চলিক সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে।
এছারাও গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে বন্যার পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় মির্জাপুর-ওয়ার্শি-বালিয়া রোড, মির্জাপুর-ভাওড়া-কামারপাড়া রোড, দেওহাটা-বহুরিয়া-ধানতারা রোড, কুরনী-ফতেপুর রোড, কদিমধল্যা-বরাটি রোড, বানিয়ারা-বাসাইল রোড,ডুবাইল-মহেড়া-ফতেপুর রোড, পাকুল্যা-দেলদুয়ার রোড, কাটরা-উফুলকী রোডসহ অধিকাংশ এলাকার আঞ্চলিক রোড ডুবে গিয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এক দিকে করোনা অপর দিকে বন্যার পানি বৃদ্ধির ফলে কোরবানীর পশু কেনা-বেচা নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছে ক্রেতা বিক্রেতা উভয় পক্ষই। আজ বৃহস্পতিবার ভাওড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আমজাদ হোসেন জানান, ভাওড়া ইউনিয়ন পরিষদ সহ তার ইউনিয়নের সব আঞ্চলিক সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। পানি বৃদ্ধির ফলে বংশাই নদীর ফতেপুর, হিলড়া আদাবাড়ি, থলপাড়া, বৈন্যাতলী, চাকলেশ্বর, গোড়াইল, গাড়াইল, পুষ্টকামুরী পুর্বপাড়া, বাওয়ার কুমারজানি, ত্রিমোহন, বান্দরমারা, যুগিরকোপা, রশিদ দেওহাটাসহ বিভিন্ন এলাকায় দেখা দিয়েছে নদী ভাঙ্গন। একই অবস্থা লৌহজং নদীর মাঝালিয়া, গুনটিয়া, চুকুরিয়া, বরাটি, দেওহাটা, কোর্ট বহুরিয়া, বহুরিয়া, কামারপাড়া, নাগরপাড়াসহ বেশ কয়েকটি এলাকা। মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আবদুল মালেক এবং সহকারী কমিশনার (ভুমি) মো. জুবায়ের হোসেন বলেন, বন্যা কবলিত এবং নদী ভাঙ্গন এলাকা গতকাল বুধবার পরিদর্শন করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর তালিকা ইউপি চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হচ্ছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে সহায়তার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
Leave a Reply