মো. জোবায়ের হোসেন, স্টাফ রিপোর্টার
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে জেলার অন্যতম কাইতলা পশুর হাট ইজারা নিয়ে অন্যত্র লিজ ও শেয়ার বিক্রির অভিযোগ উঠেছে সরকারিভাবে ইজারাপ্রাপ্ত মাসুদুর রহমানের বিরুদ্ধে। এমন অভিযোগ এনে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন মো. হেলাল উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি ১৪৩২ বাংলা বছরের পহেলা বৈশাখ গরুর হাটটির দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার পর পরই নতুন ইজারাদার মাসুদুর রহমান হাটের একাংশ এক বছরের চুক্তিতে ২০ লাখ টাকায় লিজ দিয়েছেন বাঁশতৈল গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে বিল্লাল হোসেনের কাছে। এছাড়াও বাঁশতৈল ইউনিয়নের নয়াপাড়া গ্রামের দুলাল সিকদারের ছেলে আল-আমিনের কাছে হাটের ১৮% শেয়ার বিক্রি করেছেন।
কাইতলা হাটের একাংশ লিজ নেওয়া বিল্লাল হোসেন মুঠোফোনে বলেন, হাটের মূল ইজারাদার মাসুদুর রহমানের কাছ থেকে চুক্তিপত্রের মাধ্যমে ২০ লাখ টাকায় এক বছরের জন্য কাইতলা পশুর হাটের ছাগল বিক্রির অংশটুকু তিনি লিজ নিয়েছেন।
আল-আমিন সিকদার বলেন, ইজারাদার মাসুদুর রহমানের কাছ থেকে তিনি এক বছরের জন্য হাটের ১৮% শেয়ার ক্রয় করেছেন।
ইজারাদার মাসুদুর রহমান বলেন, আমি ইজারামূল্য অনুযায়ী ৪০ শতাংশ শেয়ার বিভিন্ন জনের কাছে বিক্রি করেছি কিন্তু হাট সাবলিজ দেইনি। এতে কোন শর্তের লংঘন হয়নি বলে দাবি করেন তিনি।
অভিযোগকারী হেলাল উদ্দিন বলেন, নতুন ইজারাদার চুক্তিপত্রের নিয়ম ভঙ্গ করে হাটের একাংশ লিজ ও শেয়ার বিক্রি করেছেন। আমি প্রশাসনের কাছে এবিষয়ে উপযুক্ত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাই।
সরকারি হাট-বাজারসমূহের ব্যবস্থাপনা, ইজারা পদ্ধতি এবং উহা হইতে প্রায় আয় বণ্টন সম্পর্কিত নীতিমালার ইজারাদারের দায় দায়িত্ব অংশের ৭.৩ নং ধারায় বলা হয়েছে ইজারাদার কোনক্রমেই ইজারাপ্রাপ্ত হাট-বাজার অন্যের নিকট সাবলিজ দিতে পারিবেনা এবং ৭.৪ নং ধারায় বলা আছে ইজারাদার যদি নীতিমালা বা ইজারা চুক্তির কোন শর্ত ভংগ করে, তবে তাহার ইজারা বাতিল বলিয়া গণ্য হইবে। সেক্ষেত্রে তাহার জমাকৃত ইজারার টাকা বাজেয়াপ্ত হইবে এবং হাটটি পুনরায় ইজারা প্রদানের ব্যবস্থা করা হইবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবিএম আরিফুল ইসলাম বলেন, হাট সাবলিজ বা শেয়ার বিক্রির বিষয়টি আমার জানা নেই। এধরনের কোন অভিযোগও পাইনি। পেলে বিধি মোতাবেক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।