স্টাফ রিপোর্টার
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে চলতি বোরো মৌসুমে ধানের ক্ষেতে মরা গাছের ডাল দিয়ে পাখি বসার ব্যবস্থা করে ক্ষতিকারক পোকা—মাকড় নিধন পদ্ধতি (পার্চিং) ব্যবহার করায় কৃষকদের উদ্ধুদ্ধকরণের জন্য পার্চিং উৎসব হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে উপজেলার ৪৩টি ব্লকে একযোগে পার্চিং উৎসব হয়।
উৎসবে পার্চিং এর উপকারিতা হিসেবে ক্ষেতের ক্ষতিকর পোকা—মাকড় নিয়ন্ত্রণ, কীটনাশকের ব্যবহার কমায়, ফসলের উৎপাদন খরচ কমায় ও পরিবেশ দূষণমুক্ত রাখাসহ নানা বিষয়ে কৃষকদের মাঝে আলোচনা করা হয়। এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মাহমুদা খাতুন, উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শাহজাহান কবিরসহ উপজেলা কৃষি অফিসের কর্মকর্তা—কর্মচারী, কৃষক—কৃষানী, গণমাধ্যমকর্মীসহ নানা শ্রেণিপেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মাহমুদা খাতুন বলেন, মির্জাপুর উপজেলায় প্রায় ২২ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। তাই আমাদের লক্ষ্য ওই ২২ হাজার হেক্টর বোরো ধানের জমিতে পার্চিং পদ্ধতি ব্যবহার করা। একটি মাজরা পোকা একসঙ্গে গাদা আকারে ২৫০—৩০০টি ডিম পাড়ে। আর এই পার্চিং পদ্ধতি ব্যবহারে একটি ফিঙ্গে পাখি একটি মাজরা পোকার মথ খাওয়া মানে ২৫০—৩০০টি মাজরা পোকা খেয়ে ফেলা। কারণ একটি মাজরা পোকার মথ ফুটে ২৫০—৩০০টি ধানের শীষ ক্ষতি করে। সাধারণত এক বিঘা জমিতে পাতাবিহীন শাখা—প্রশাখাযুক্ত ১০—১২টি ডাল ধান রোপণের ৭—১০ দিনের মধ্যে পুঁতে দিতে হয়। পার্চিং প্রযুক্তি হলো পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি। এতে কৃষক লাভবান হয় ও ফসলের উৎপাদন খরচ কমে যায়।
তিনি আরও বলেন, ঢাকা অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক আহসানুল বাশার স্যারের নির্দেশনায় সারা দেশে এক যোগে এই কর্মসূচী পালন করা হয়।