বদনতলায় জমছে ধুলো
আয়নার সামনে দাঁড়ালেই দেখি
ক্রমশ হ্রস্বমান বিবর্ণ মানুষের ছায়া
চোখের দিকে তাকালে মৃত সারসের কঙ্কালে
ঝুলে থাকে নোংরা জন্ম
তাই নিজের মুখের দিকে তাকাতেও ভয় হয়
পরিচিতির সীমারেখা মাড়িয়ে
সস্রাব্দের বিষন্নতা এই বদনতলায় গড়েছে ঘর
কায়াহীন পথের মতো অসুখের ধুলো
মননের উদ্যানে নিয়েছে ঠাঁই
কে আছ আদর ঘষে তুলে দাও
এই বিষন্নতার দাগ।
পথ জানা নেই
সোজা পথে চলতে গিয়ে দেখি
এ-পথ মিশে গেছে কঠিন গন্তব্যে
ভুল পথে পা না বাড়িয়ে আমি বরং হেঁটে যাই
আঁকাবাঁকা আলপথে জোনাকির ফুলসজ্জার
কাতর মুগ্ধতা যেখানে
মিশে গেছে আমাদের লোনাজলে
ঘুমভাঙা চোখ মুছে এলোমেলো হাতড়ে ফিরি
অসংস্কৃত পথ ক্ষুধার্ত পাটাতন
আর একটু পরেই
পা এবং মাটির দূরত্ব বেড়ে গেলে
স্বপ্নভ্রষ্ট করিডোর আমাকে নিয়ে যাবে
প্রিয়তম গোপন সংসারে।
সময়ের কানামাছি
চোখ বন্ধ করে আছি
সময়ের কানামাছি;
মানবিক মেঠোপথে হাঁটছি
নিয়মে অনিয়মে
আর কতবার এভাবে নিচে নেমে যাব
পাহাড় উবু হয়ে কতটা পেরোতে পারে
নদীর ঢেউ বালুকণা ডুপসাঁতার
অতলেও তল থাকে
নামছি অতলে
নামছি …
ভালোবাসার হালচাষ
ভালোবাসার চাষাবাদ করতে করতে
সন্দেহ তীরবর্তী এই ক্ষেতে এসে থেমে যায় নদী
কে যেন সারারাত পানি ঘোলা করে
দূরে তার পেশিবহুল ছায়া
ওদিকে তর্জনী তুলে দাঁড়িয়ে থাকে কৃষক
বৃষ্টি হলে থেমে যাবে অমাবস্যার রেখা
লজ্জাবতীর চারা মাথা উঁচু করে দীর্ঘশ্বাস ফ্যালে
বুকের ভেতরে কেন এমন হৃদয় পোষ
মাটিতে চাপা দিয়ে মুখ?
ও চ্যাংড়া ঘাস, কার জন্য ধরে রাখো বুকের শিশির?
Leave a Reply