নিজস্ব প্রতিবেদক
মির্জাপুর সরকারি কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত হচ্ছিল বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। এমন সময় মাঠের পাশের রাস্তাটি দখল করে স্থানীয় এক ভাঙ্গারি ব্যবসায়ী ট্রাকে মালামাল বোঝাই করছিলেন। ঠিক তখন উপায় না দেখে রাস্তা পার হওয়ার জন্য ক্রীড়া চলাকালীন সময় মাঠের পাশ দিয়ে অতিক্রম করার চেষ্টা করে পুলিশের একটি রেকার। এনিয়ে একপর্যায়ে রেকার চালক পুলিশ কনস্টেবল ও কলেজের শিক্ষকদের মধ্যে বাক-বিতণ্ডার সৃষ্টি হয় এবং পরিস্থিতি আরো উত্তপ্ত হওয়ায় ওই পুলিশ কনস্টেবলকে প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেন মির্জাপুর থানা কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার (২২ মার্চ) দুপুর ১টার দিকে মির্জাপুর কলেজ মাঠে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ লাইনে সংযুক্ত হওয়া পুলিশ সদস্যের (কনস্টেবল) নাম আইয়ুব আলী। তিনি সম্প্রতি মির্জাপুর থানা এলাকার জন্য নির্ধারিত রেকারের চালক হিসেকে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছিলেন।
মির্জাপুর সরকারি কলেজের শিক্ষকদের অভিযোগ, ক্রীড়া চলাকালীন মাইক দিয়ে বার বার চালককে মাঠে গাড়ি প্রবেশ করাতে নিষেধ করলেও তিনি শুনেননি । উল্টো নিষেধ করায় তিনি উপস্থিত শিক্ষকদের সাথে বাজে ব্যবহার করেন ও দাম্ভিকতা দেখান। এতে শিক্ষার্থীরা ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে আটক করে।
পুলিশ লাইনে সংযুক্ত হওয়া কনস্টেবল আইয়ুব আলী বলেন, ‘মাঠের নিচের রাস্তায় অন্য একটি গাড়ি ভাঙ্গারি মালামাল বোঝাই করায় ওই রাস্তা দিয়ে বের হওয়ার সুযোগ ছিলনা। তাই বাধ্য হয়ে আমি মাঠের পাশ দিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি। আমি কারও সাথে কোন খারাপ আচরণ করিনি। আমি পরিস্থিতির শিকার।’
মির্জাপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. গিয়াস উদ্দিন বলেন, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নির্দেশনা মোতাবেক ওই পুলিশ সদস্যকে টাঙ্গাইল পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করার পর তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তবে এ ঘটনায় মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ কনস্টেবলকে তিরস্কার ও ক্ষমা প্রার্থনার সুযোগ দিয়ে বিষয়টির সমাধান করাই শ্রেয় ছিলো বলে ঘটনার পর অনেকেই মন্তব্য করেছেন।