মোঃ সাজজাত হোসেন
মুজিববর্ষ উপলক্ষে মির্জাপুরবাসীকে আলোকিত সড়ক উপহার দেয়ার অংশ হিসেবে স্ট্রিট লাইট স্থাপন করা হয়েছে। যার ফলে বদলে গেছে শহরের রাতের চিত্র। প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান সড়ক ও জনপদ বিভাগের দাবি শহরের ৪ কিলোমিটার রাস্তায় এসব বাতি সৌন্দর্য্যবর্ধন ও সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে এবং সকল প্রকার অনৈতিক কাজ বিরত রাখায় ভ‚মিকা রাখবে।
২০০০ সালে ৮.৫৮ বর্গ কিলোমিটার এলাকা নিয়ে মির্জাপুর পৌরসভার যাত্রা শুরু হয়।পরবর্তীতে ২০১৯ সালে ২য় শ্রেণীর পৌরসভা থেকে প্রথম শ্রেণির পৌরসভায় উন্নীত হয় । পৌরবাসির নাগরিক সুবিধার অন্যতম উপাদান হিসেবে রাস্তায় লাইট থাকার কথা থাকলেও এখানে সড়ক লাইট তেমন একটা ছিলনা। ছিটেফোটা ২/১ টা লাইট থাকলেও পৌরবাসী তাতে সন্তুষ্ট ছিল না। রাত ৮ টার দিকে শহরের দোকানপাট বন্ধ হয়ে গেলে সন্ধ্যার পরপরই অন্ধকারে গহব্বরে হারিয়ে যেত মির্জাপুর পুষ্টকামুরী বাইপাস থেকে দেওহাটা পর্যন্ত রাস্তা । এ সময়ে পুষ্টকামুরী চরপাড়া বাইপাস এলাকায় চুরি ছিনতাই সহ বিভিন্ন অপরাধ ঘটতো যত্রতত্র।
এ অবস্থা হতে পরিত্রাণের জন্য মুজিববর্ষে উপহার হিসেবে সড়ক ও জনপদ বিভাগ শহরের পুষ্টকামুরী বাইপাস রোড হতে দেওহাটা মোড় পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশের্^ সড়ক লাইট স্থাপনের প্রকল্প হাতে নেয়।
টাঙ্গাইল-৭ আসনের সংসদ সদস্য ও সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতির আন্তরিক চেষ্টায় ২৫ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা ব্যায়ে উপজেলা শহরের ৪ কিলোমিটার রাস্তা, ব্রীজ, টার্মিনাল ও লাইট নির্মাণ কাজ শুরু করা হয় ২০১৯ সালের মার্চ মাসে। ইতোমধ্যে প্রকল্পের নির্মান কাজ শেষ পর্যায়ে। পুরাতন বাসস্ট্যান্ড হতে পুষ্টকামুরী বাইপাস ও দেওহাটা পর্যন্ত লাইটে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে।
প্রকল্পের সব অংশে ইতোমধ্যে রাস্তার উভয় পার্শে এলইডি লাইট স্থাপন করা হয়েছে। এতে সন্ধ্যার পর আলোক উজ্জল হয়ে উঠছে উপজেলা শহর। আলোর ঝলকানিতে পাল্টে গেছে রাতের চিত্র। এতে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন শহরে নাগরিকরা।
এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মনিরুজ্জামান বলেন, বর্তমান সরকারের উন্নয়ন ভাবনার ধারাবাহিকতায় মির্জাপুর শহর অংশের সড়কের নিরাপত্তায় এবং স্বাচ্ছন্দ্যে চলাচলের লক্ষ্যে সড়ক উন্নয়ন ও আলোকিত করণ কাজটি বাস্তবায়ন করা হয়। মির্জাপুরে বিভিন্ন জায়গায় উন্নয়নের কাজ চলমান রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মো. একাববর হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন পরে হলেও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদৃষ্টিতে আমরা আলোকজ্জল শহর পেয়েছি। সেই সাথে বদলে গেছে রাতের শহরের চিত্র। এখন মনোরম দৃশ্যপট তৈরি হয়েছে। এজন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
Leave a Reply