তুতুল ভাইয়ের পুতুল ভাবি
চাকরি করেন জাপান
রোজ সকালে পিকিং গিয়ে
লবণ দিয়ে চা খান।
চা খেয়ে তার জিপ গাড়িটি
আকাশ-পথে হাঁকান
এক মিনিটেই আবার তিনি
আসেন ফিরে জাপান।
অফিস ঘরে ঢুকেই যখন
কলমটি তার না পান
রাগের চোটে থপ্থপিয়ে
তিড়িং-বিড়িং লাফান।
কোন্ ফাঁকে যে পড়ল খসে
দুল-দুলানো বাঁ কান-
সোফায় বসে গোল্লা-চোখে
সেদিক পানেই তাকান।
একটু পরেই দেশের সেরা
দুই কারিগর ডাকান-
‘কানটি আমার দিন লাগিয়ে
পাবেন টাকা যা চান’।
দত্তবাবুর ভুঁড়ি
ভুঁড়ি তো নয়, আমলিগোলার
আড়তদারের ঝুড়ি
রোজ সকালে নাশতা খেতে
ডিম লাগে পাঁচ কুড়ি।
সময় সময় বাজি ধরে
একশ রুটি নাশতা করে
খাওয়ার পরে পেটের ওপর
হাত বুলিয়ে দেখে,
বলে শেষে পাঁচ‘শ রুটি
লাগবে এবার থেকে।
দত্তবাবুর ভুঁড়ি-
এই শহরে এমন ভুঁড়ির
নেই তো কোনো জুড়ি।
দূর থেকে ঠিক মনে হবে
সেগুন কাঠের গুঁড়ি।
নাম তার ভোলারাম
সবকিছু ভুলে যায়!
বই-খাতা ফেলে রেখে
রোজ ইশকুলে যায়!
তালাটাকে জেবে পুরে
দরজাটা খুলে যায়!
ট্যাক্সিটা ভাড়া করে
বাসে উঠে ঝুলে যায়!
চিনি ভেবে নুন দিয়ে
শরবত গুলে খায়!
কুয়ো ভেবে প্রতিদিন
যমুনার কূলে যায়!
নাম তার ভোলারাম
জানি সব ভুলে যায়
কিন্তু সে জেনে-বুঝে
পাকা কলা ছুলে খায়!
শুভ্রময়ের পরীক্ষা আজ
মা হবে তার সাথি
সবাই মিলে দিলাম তারে
আশিস মালা গাঁথি।
তার হাসিতে আমরা হাসি
কাঁদলে পরে কাঁদি
তার আশাতে আমরা সবাই
আশায় পরান বাঁধি।
সোনামণি বড়ো হবে
সব বাধা জয় করে
সেই খুশিতে বাবা-মায়ের
যাবে হৃদয় ভরে।
শুভ্রময়ের জীবনপাতায়
ঝরবে আলোর ধারা
আমরা তখন অনেক সুখে
হব আত্মহারা।
প্রজাপতি উড়তে দেখে
ইচ্ছা জাগে মনে
আমার যদি থাকত ডানা
উড়ে যেতাম বনে।
সারাটা দিন উড়ে উড়ে
দেখা হতো পাহাড়
রংবেরঙের ফল দিয়ে রোজ
করে নিতাম আহার।
হরেক রকম ফুলপাখিদের
বসত যখন মেলা
রঙের মেলায় ঘুরে ঘুরে
কাটত সারাবেলা।
দিবানিশি মনটা আমার
হাজার স্বপ্ন বোনে।
স্বপ্ন শুধু স্বপ্ন হয়েই
রইল মনের কোণে।
Leave a Reply