নিজস্ব প্রতিবেদক
নরসিংদী জেলার সদর উপজেলার মধ্য দিয়ে মেঘনা নদী প্রবাহিত। নদীটি নরসিংদী সদর উপজেলার চরাঞ্চলের ৪টি ইউনিয়ন-করিমপুর, নজরপুর, আলোকবালী ও চরদিঘলদীকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছিলো। এলাকার জনসাধারনের নরসিংদী শহরও ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ধরে রাজধানীতে যাতায়াতের ক্ষেত্রে চরম অসুবিধায় পড়তে হতো। শহরের নিকটবর্তী হয়েও তারা যেন ছিলো বহুদূরের বাসিন্দা।
এলাকায় রয়েছে অনেক কলকারখানা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, গ্রোথ সেন্টার ও হাটবাজার। প্রতিদিন প্রায় ২৫ হাজার মানুষ নরসিংদী-করিমপুর অংশে মেঘনা নদী পার হয়ে উপজেলা ও জেলা সদরে যাতায়াত করে। একটি সেতুর দীর্ঘদিনের চাহিদা ছিল এলাকাবাসির। সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নের মাধ্যমে কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নসহ এলাকার অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের গতি সঞ্চারের জন্য এ সেতুটি নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়।
সারাদেশে উপজেলা ও ইউনিয়ন সড়কে দীর্ঘ সেতু নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় এলজিইডির প্রকৌশলীগণের ডিজাইন, নিবিড় পর্যবেক্ষণ ও সার্বিক তত্ত্বাবধানে তুলনামূলক কম খরচে দৃষ্টিনন্দন এ সেতুটির নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হয়েছে এবং যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। সেতুটি নির্মাণের ফলে নরসিংদী সদর উপজেলার চরাঞ্চলের ৪টি ইউনিয়ন এবং পার্শ্ববর্তী রায়পুরা উপজেলার চরআড়ালিয়া, চরমধুয়া, মির্জারচর ও বাঁশগাড়ী ইউনিয়নসহ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর ও নবীনগর উপজেলার বিপুল সংখ্যক জনসাধারণ ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ব্যবহার করে সহজেই রাজধানী ঢাকাসহ অন্যান্য গন্তব্যে যাতায়াত করতে পারবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক সেতুটি উদ্বোধনের পর এলাকার আপামর জনসাধারনের দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন বাস্তবায়ন হয়েছে।
এ সেতুটি বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকারের গামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রতিশ্রুতির একটি সফল বাস্তবায়ন, যা এলাকার জনসাধারনের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের মধ্য দিয়ে দেশের অর্থনীতিতে মূল্যবান অবদান রাখছে।
সেতুটি নির্মাণে ব্যায় হয়েছে প্রায় ৯৭ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা সেতুটি নির্মাণের ফলে নরসিংদী সদর উপজেলার চরাঞ্চলের ৪টি ইউনিয়ন-করিমপুর, নজরপুর, আলোকবালী ও চরদিঘলী এর প্রায় ২৫ হাজার মানুষের নরসিংদী জেলা শহরের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপিত হলো। এতে চরাঞ্চলের জনসাধারনের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নতি সাধিত হয়েছে।
নরসিংদী সদর উপজেলার চরাঞ্চলের ৪টি ইউনিয়ন, পার্শ্ববর্তী রায়পুরা উপজেলার চরআড়ালিয়া, চরমধুয়া, মির্জারচর ও বাঁশগাড়ি ইউনিয়ন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর ও নবীনগরের জনসাধারনের ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ধরে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যাতায়াত সহজতর হবে। এলজিইডি নরসিংদী জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ মো. আবু জাকির সেকান্দার বলেন সেতু নির্মাণের ফলে এলাকার প্রায় ২৫ হাজার মানুষ এর সুফল ভোগ করছে।
Leave a Reply