জাহাঙ্গীর হোসেন, স্টাফ রিপোর্টার
টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার কৃতি সন্তান বাংলাদেশ বিমানের অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন মাহমুদ হোসেন (৭৮) শনিবার সকালে ঢাকার এভার কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন (ইন্নালিল্লাহি…… রাজেউন)। তিনি দীর্ঘদিন ধরে তিনি হৃদরোগসহ নানা জটিল রোগে ভুগছিলেন। শনিবার মিরপুর ডিওএইচএস কেন্দ্রীয় মসজিদে জানাযা শেষে তাকে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হয়।
ক্যাপ্টেন মাহমুদ হোসেন ১৯৬৭ সালে তৎকালীন পিআইএ-তে পাইলট হিসেবে যোগ দেন। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে তিনি পশ্চিম পাকিস্তানে আটকে পড়েন। ১৯৭২ সালে পশ্চিম পাকিস্তান থেকে পালিয়ে ভারত হয়ে দেশে ফেরেন এবং তিনি বিমান বাংলাদেশে পাইলট হিসেবে যোগ দেন। ২০০৩ সালে তিনি অবসরে যান।
ক্যাপ্টেন মাহমুদের মা মাহমুদা খাতুন ২০১৪ সালে রত্নগর্ভা মা’ হিসেবে সন্মানীত হন। তার মেঝ ছেলে ড.মাহবুব হোসেন যুক্তরাষ্ট্রে কর্মরত, সেঝ ছেলে বীর মুক্তিযোদ্ধা ব্রি.জেনারেল (অব.) মোশাররফ হোসেন সেনাবাহিনীতে (আর্মি এভিয়েশন) পাইলট হিসেবে কর্মরত ছিলেন। পরে তিনি বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। তার ছোট ছেলে লে.কর্ণেল (অব.) মঞ্জুর হোসেনও সেনাবাহিনীতে পাইলট ছিলেন। বর্তমানে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন। ক্যাপ্টেন মাহমুদের পিতা আব্দুর রাজ্জাক কাস্টমসের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ছিলেন।
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক ছেলে, এক মেয়ে, তিন ভাই ও তিন বোনসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তার একমাত্র ছেলে শাহরিয়ার মাহমুদ ফরাজী বাংলাদেশ বিমানের পাইলট হিসেবে কর্মরত।