1. info@mirzapurpratidin.com : admin :
  2. news@mirzapurpratidin.com : mirzapur mirzapur : mirzapur mirzapur
সরকারি জমির শ্রেণি পরিবর্তনে বাধা দেওয়ায় ডিসি-ইউএনও-এসিল্যান্ডের বিরুদ্ধে বিএনপি নেতার মামলা - Mirzapurpratidin.com
শিরোনামঃ
মির্জাপুরে ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত মির্জাপুরে বাসের ধাক্কায় অটোচালকসহ নিহত ২ টাঙ্গাইল- ৭ আসনে আবুল কালামেই আস্থা বিএনপির মির্জাপুরে স্ত্রী হত্যার মামলায় শশুরবাড়ি থেকে স্বামী গ্রেপ্তার মির্জাপুরে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের পরিচিতি সভা মির্জাপুরে যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কোরআন খতম ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত মির্জাপুরে প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষায় অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের ফলাফল উন্নয়নে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত মির্জাপুরে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ উদ্বোধন মির্জাপুরে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের বর্ণাঢ্য মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত মির্জাপুরে যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা

সরকারি জমির শ্রেণি পরিবর্তনে বাধা দেওয়ায় ডিসি-ইউএনও-এসিল্যান্ডের বিরুদ্ধে বিএনপি নেতার মামলা

  • আপডেট টাইম : Saturday, November 28, 2020
  • 886 বার
127280866 439806397010142 6429610175383609082 n

মির্জাপুর প্রতিদিন ডেস্ক
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে অবৈধভাবে প্রায় ২০ কোটি টাকা মূল্যের ৮৬ শতাংশ সরকারি জমির শ্রেণি পরিবর্তনে বাধা দেওয়ায় টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ড. মো. আতাউল গনি, মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবদুল মালেক ও উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. জোবায়ের হোসেনকে আসামী করে মামলা করেছেন বিএনপি নেতা ফিরোজ হায়দার খান।

127002062 819287851978674 7082305183020950505 n
সরকারি পুকুর মাটি ভরাটের পরের চিত্র


গত ১৬ সেপ্টেম্বর বিএনপি নেতা ফিরোজ হায়দার খান আদালত অবমাননার অভিযোগ এনে হাইকোর্টে তাদের বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবদুল মালেক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

127510423 188754612859637 2693624074707521447 n
সরকারি পুকুরের চারপাশে প্রাচীর নির্মাণ করা হয়


জানা গেছে, মির্জাপুর গোড়াই শিল্পাঞ্চলের নাজিরপাড়া এলাকায় সিএস খতিয়ান ৩০৯, এসএ খতিয়ান ইজা-১ ও ২৮৬১ নম্বর দাগে ৮৪ শতাংশ সরকারি পুকুর রয়েছে। এছাড়া ২ নম্বর খতিয়ানে ৩৩০০ নম্বর দাগে সড়ক ও জনপথ বিভাগের ৬শতাংশ জমি রয়েছে। এই জমি করটিয়া জমিদার ওয়াজেদ আলী খান পন্নীর কাছ থেকে ১৯৪১ ও ১৯৪২ সালে গোড়াই এলাকার ওয়াজেদ আলীর ছেলে আব্দুল মান্নান জমিদারী পত্তন নেন। পরবর্তীতে টাঙ্গাইল জেলা ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি বিএনপি নেতা ফিরোজ হায়দার খান ২০০৭ সালে ১৯ জুলাই মির্জাপুর রেজিস্ট্রি অফিসে আব্দুল মান্নানের স্ত্রী জেবুননেছার কাছ থেকে ২৪১১ ও ২৪১২ নম্বর দলিল মূলে ক্রয় করেন। পরে এলার্ট নোটিশের (ল্যান্ড ট্রান্সফার) মাধ্যমে মির্জাপুর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) অফিস থেকে ৭৩/২০০৭/০৮ ও ৭৪/২০০৭/০৮ নম্বরে নিজ নামে দুটি নামজারি করেন। নিজ নামে নামজারি করাতে পারলেও খাজনা প্রদানের জন্য হোল্ডিং চালু করতে পারেননি ফিরোজ হায়দার খান।

127223167 715033676062137 7878668000015514573 n
সরকারি পুকুরে ভরাটকৃত মাটি কেটে পুনরায় পুকুরে পরিণত করে উপজেলা প্রশাসন


চলমান জরিপে ফিরোজ হায়দার খানের নামে জমিটি মাঠ জরিপে রেকর্ড হয়। পরবর্তীতে উক্ত রেকর্ডের বিরুদ্ধে সরকার পক্ষ টাঙ্গাইল জোনাল সেটেল্টমেন্ট অফিসে আপত্তি (১১৮০৪/০৯) দাখিল করেন। আপত্তির প্রেক্ষিতে জোনাল সেটেল্টমেন্ট অফিস ফিরোজ হায়দারের নামে রেকর্ড বাতিল পূর্ব ১৪/০৬/২০১০/৮৩৮(৪) নম্বর স্মারকে পূণরায় শুনানীর আদেশ দেন। ফিরোজ হায়দার খান শুনানীতে উপস্থিত না হয়ে টাঙ্গাইলের জোনাল সেটেল্টমেন্ট কর্মকর্তা মাহবুবা হাসনাতের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে ৫৭৯১/২০১০ রিট পিটিশন দায়ের করেন। রিট পিটিশনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট পুণরায় শুনানীর চিঠির কার্যক্রম স্থগিত করেন। সেইসাথে উক্ত পুকুর ফিরোজ হায়দার খানকে ভোগ করার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
সারাদেশে করোনা ভাইরাস মহামারি আকার ধারণ করলে মির্জাপুর উপজেলা প্রশাসনের বেশিরভাগ কার্যক্রম করোনা কেন্দ্রীক হয়ে পড়ে। এ সুযোগে ফিরোজ হায়দার খান রাতের আধারে পুকুরে মাটি ভরাট করে শ্রেণি পরিবর্তনের কাজ শুরু করেন। এছাড়া পুকুরের চারপাশে প্রাচীর নির্মাণ করেন। বিষয়টি জানতে পেয়ে উপজেলা প্রশাসনের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে তার অবৈধকাজ বন্ধ করেন এবং সরকারি মালিকানা পুকুর সাইনবোর্ড সাটান। প্রশাসনের নির্দেশ অমান্য করে ফিরোজ হায়দার খান রাতের আধারে পুকুরটি ভরাট করেন।

127010266 998371754002083 5879051121716111509 n
সরকারি পুকুরে ভরাটকৃত মাটি কেটে পুনরায় পুকুরে পরিণত করে উপজেলা প্রশাসন


পরবর্তীতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে উপজেলা প্রশাসন পুকুরের চারপাশের প্রাচীর ভেঙ্গে ভেকু মেশিন দিয়ে মাটি সরিয়ে পুণরায় পুকুরে পরিণত করেন। উক্ত পুকুরটি সায়রাত রেজিষ্টার (জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত) ভুক্ত।
এই ঘটনার পর ফিরোজ হায়দার খান টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ড. মো. আতাউল গনি, মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবদুল মালেক, উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. জোবায়ের হোসেনকে গত ৩০ মে ও ৩১ আগস্ট দুটি উকিল নোটিশ পাঠান।
পরে ফিরোজ হায়দার খান জেলা প্রশাসক, মির্জাপুরের ইউএনও ও এসিল্যান্ডের নামে আদালত অবমাননার অভিযোগ এনে গত ১৬ সেপ্টেম্বর মামলা করেন।
এ ব্যাপারে বিএনপি নেতা ফিরোজ হায়দার খানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে সাংবাদিকদের বলেন আমি আইন অমান্য করি নাই আইনকে শ্রদ্ধা দেখিয়ে আদালতে মামলা করেছি আদালত যে রায় দিবে আমি তা মেনে নিব।
উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. জোবায়ের হোসেন জানান, ২০১৩ সালে হাইকোর্টের একটি আদেশ আছে তাতে বলা আছে কোন জলাধার ভরাট করা যাবে না। ফিরোজ হায়দার খান সেই আইন আমান্য করেছে। আমরা তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিয়েছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবদুল মালেক বলেন, ফিরোজ হায়দার খান রাতের আধারে পুকুর ভরা করে শ্রেণির পরিবর্তন করেছে। আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে প্রশাসনের পক্ষ থেকে যাথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ড. মো. আতাউল গনি সাংবাদিকদের বলেন, প্রশাসন জনসার্থে রাষ্ট্রের পক্ষে কাজ করছে। ফিরোজ হায়দার খান উচ্চ আদালতকে ভূল বুঝিয়ে অন্যায়ভাবে ব্যবহার করে কোটি কোটি টাকার সরকারি সম্পত্তি আত্মসাত করার চেষ্টা করছে।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 Mirzapurpratidin এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ভিডিও বা ছবি অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি
Site Customized By NewsTech.Com