মো. জোবায়ের হোসেন, স্টাফ রিপোর্টার
আইনের আওতার বাইরে যাত্রীবেশে অটোরিকশা ছিনতাইকালে গণধোলাইয়ের শিকার হওয়া এক ব্যক্তি। তাৎক্ষণিকভাবে তার পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি ও পরবর্তীতে আইনের আওতায় না আসায় চূড়ান্তভাবে তার পরিচয় জানার সুযোগ হয়নি। গত রোববার (২০ অক্টোবর) সকাল ১১ টার দিকে ঢাকা- টাঙ্গাইল মহাসড়কের সাটিয়াচড়া এলাকায় ওই ছিনতাইকারীকে আটক করে গণধোলাই দেয় স্থানীয় জনতা। তবে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় ওই চক্রের অন্য সদস্যরা। এনিয়ে ওইদিন মির্জাপুর প্রতিদিন অনলাইন নিউজ পোর্টালে এ সংবাদ প্রকাশিত হয়।
ওইদিন অটোরিক্সার চালক রমজান জানান, ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়কের পাকুল্যা বাসস্ট্যান্ড থেকে দেলদুয়ার উপজেলার নাসির গøাস ফ্যাক্টরিতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে এক ব্যক্তি তার রিকশা ভাড়া করেন। মহাসড়কের জামুর্কী অতিক্রম করার পর একটি সাদা প্রাইভেটকার তার রিকশার গতিরোধ করে ও প্রাইভেটকারে থাকা কয়েকজন নেমে তাকে মারধর করে রাস্তার পাশে ফেলে দেয়। এসময় রিকশায় থাকা যাত্রী তার রিকশাটি চালিয়ে মির্জাপুরের দিকে রওনা হয়। প্রাইভেটকারটি চলে যায়। মোবাইল ফোনে নিকট আত্মীয়দের সংবাদ দিলে তারা মহাসড়কের সাটিয়াচড়া এলাকায় রিকশাটি আটক করে। এরপর স্থানীয়রা রিকশা ছিনতাইকারীকে গণধোলাই দেয়। তবে প্রাইভেটকারে থাকা অন্য ব্যক্তিদের কোন হদিস পাওয়া যায়নি।
সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে যান মির্জাপুর থানার সহকারি উপপরিদর্শক মিরান। তার উপস্থিতিতে গণধোলাইয়ের শিকার হওয়া ব্যক্তিকে চিকিৎসার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ঘটনার দুইদিন পরও গণধোলাইয়ের শিকার হওয়া ছিনতাই চক্রের সদস্য আইনের আওতায় না আসার বিষয়ে উপপরিদর্শক মিরান বলেন, এঘটনায় ভুক্তভোগী কোন অভিযোগ না দেয়ায় আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। মির্জাপুর থানার ওসি মো. মোশারফ হোসেন বলেন, বিষয়টি আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি।