মো. জোবায়ের হোসেন, স্টাফ রিপোর্টার
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে আজ সকাল ৮টা থেকে উপজেলার ৬টি ইউপিতে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। দুপুর পর্যন্ত ভোট কার্যক্রমে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটলেও বিভিন্ন কেন্দ্রে ইভিএম মেশিন হ্যাং ও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ভোটারের ফিঙ্গার না মেলার ঘটনা ঘটছে বলে জানা গেছে।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন উপজেলার লতিফপুর ইউনিয়নের বান্দাচালা ইবতেদায়ী মাদরাসা কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার শরিফুজ্জামান হাবীব, যোগীরকোফা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রিজাইডিং অফিসার আবু তারেক, বহুরিয়া ইউনিয়নের বহুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রিজাইডিং অফিসার মো. ইব্রাহীম মিঞা, বহুরিয়া নুরুল আলানুল হাফিজিয়া মাদরাসার প্রিজাইডিং অফিসার জাহাঙ্গীর হোসেন। এছাড়া উপজেলার অন্যান্য বেশ কয়েকটি ভোট কেন্দ্রে খবর নিয়ে এ ধরণের ঘটনার কথা জানা গেছে।
যোগীরকোফা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার আবু তারেক বলেন, আমার এই কেন্দ্রে ১০ মিনিট পর পর মেশিনে সমস্যা হচ্ছিল। পরে বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানোর পর তারা টেকনিশিয়ান পাঠিয়েছেন। সমস্যা হলে সাথে সাথেই ঠিক করা হচ্ছে।
এদিকে, ফিঙ্গার না মেলার কারণে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ভোটার ভোট দিতে পারছিলেন না বলে সরজমিন পরিদর্শন করে জানা গেছে। বহুরিয়া ইউনিয়নের গেড়ামারা গোহাইলবাড়ী সবুজ সেনা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে রফিক, আছিয়া বেগম, বছিরন বেগম, আদরজানসহ আরো বেশ কয়েকজন ফিঙ্গার না মেলার কারণে ভোট দিতে পারেননি বলে অভিযোগ করেন।
এ ধরণের সমস্যায় পরা রফিক বলেন, এরআগে এমপি উপনির্বাচনে আমি ইভিএম এ ভোট দিয়েছি। কিন্তু তখন কোন সমস্যা না হলেও এখন ফিঙ্গার না মেলায় ভোট দিতে পারছিনা। ৩-৪ বার চেষ্টা করার পরও ভোট দিতে পারছিনা।
এ বিষয়ে ওই কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা মোশাররফ হোসেন বলেন, যারা এ সমস্যার কারণে ভোট দিতে পারেননি তাদের অপেক্ষমান রাখা হয়েছে। দুপুরের পর তাদের বিষয়টি দেখবো।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শরিফা বেগম বলেন, ইভিএম মেশিন হ্যাং হওয়ার কোন খবর জানিনা। দুপুর পর্যন্ত ৬ ইউনিয়নে ৫০ শতাংশ ভোট কাস্ট হয়েছে বলে তিনি জানান। আর যারা ফিঙ্গার না মেলার কারণে ভোট দিতে পারেননি তাদের ভোট বিশেষ উপায়ে কাস্ট করার কথা প্রিজাইডিং অফিসারদের বলা আছে।