মো. জোবায়ের হোসেন, স্টাফ রিপোর্টার
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে চার দিনের ব্যবধানে দুই দোকান থেকে প্রায় ২৫ টন রড চুরির ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। চুরি যাওয়া ওই রডের বাজারমূল্য প্রায় ২৫ লাখ টাকা বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা।
চুরির ঘটনার মধ্যে বৃহস্পতিবার (০৯ মার্চ) মধ্যরাতে মির্জাপুর বাইপাস বাসস্ট্যান্ড এলাকার কুমারজানি রোডস্থ সেলিম এন্টারপ্রাইজ থেকে ১২-১৩ টন ও গত রবিবার (৫ই মার্চ) ঢাকা-টাঙ্গাইল পুরাতন সড়কের পুষ্টকামুরী বড়বাড়ি এলাকার অহি এন্টারপ্রাইজ থেকে অন্তত ১২ টন চুরির ঘটনা ঘটেছে বলে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীদের দাবি। এদিকে অল্প সময়ের ব্যবধানে রড চুরির দুটি ঘটনায় স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
অহি এন্টারপ্রাইজের মালিক এনায়েত হোসেন বলেন, রবিবার সকালে তার ম্যানেজার দোকানে গিয়ে দেখেন দোকানের শাটারের তালা ভেঙ্গে গোডাউনে থেকে অন্তত ১২ টন চোরেরা চুরি করে নিয়ে গেছে। সিসি ক্যামেরা যাচাই করে তিনি দেখেন রাত ২.২০ মিনিটে কতিপয় চোর গোডাউনে ঢুকে প্রথমে সিসি ক্যামেরা ভেঙ্গে ফেলে ও পরে ক্যামেরার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে চুরির ঘটনা ঘটনায়। অপর ভুক্তভোগী সেলিম এন্টারপ্রাইজের মালিক মোখলেছুর রহমান সেলিম বলেন, বৃহস্পতিবার ভোরে স্থানীয় একজন তাকে জানান তার দোকানে শাটার খোলা। পরে দোকানে গিয়ে দেখতে পান শাটার কেটে ও তালা ভেঙ্গে দোকানে থাকা প্রায় ১২-১৩ টন চুরি হয়ে গেছে।
ভুক্তভোগী ইমারত নির্মাণ সামগ্রী ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ১০-১২ টন রড লোড বা আনলোড করতে ৫ জন লোকের কমপক্ষে ৩-৪ ঘন্টা সময় লাগবে। যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তারা পেশাদার ও দক্ষ। একদম পৌরশহরে ভিতর এতো লম্বা সময় নিয়ে চুরির ঘটনা ঘটলেও তা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দৃষ্টিগোচর না হওয়ায় রাতের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে সমালোচনা করেছেন কয়েকজন ব্যবসায়ী।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানার উপ পরিদর্শক আবু রায়হান বলেন, অহি এন্টারপ্রাইজের চুরির ঘটনা তদন্তে ঘটনাস্থল পরিদর্শনপূর্বক তদন্তকাজ অব্যাহত আছে। সেলিম এন্টারপ্রাইজে চুরির ঘটনায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে চুরির ঘটনা উদঘাটন করে দোষীদের চিহ্নিতের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে জানান মির্জাপুর থানার উপ পরিদর্শক মো. মজিবর রহমান।