মো. জোবায়ের হোসেন, স্টাফ রিপোর্টার
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে (টাঙ্গাইল-৭) চ্যালেঞ্জিং ভোটে বড় ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী খান আহমেদ শুভ। ঘোষিত বেসরকারী ফলাফল অনুযায়ী নৌকা প্রতীক নিয়ে তিনি পেয়েছেন ৮৮ হাজার ৩৯৩ ভোট। যেখানে তার নিকটতম প্রতিযোগী হিসেবে ট্রাক প্রতীক নিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর এনায়েত হোসেন মন্টু পেয়েছেন ৫৭ হাজার ২৩১ ভোট।
এছাড়া নির্বাচনে অংশ নেয়া বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক লীগ মনোনীত আরমান হোসেন তালুকদার গামছা প্রতীকে পেয়েছেন ১ হাজার ৩৪০ ভোট, জাকের পার্টি মনোনীত মো. মোক্তার হোসেন গোলাপ ফুল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৫শত ১২ ভোট, জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী (স্বতন্ত্র প্রার্থীকে সমর্থনকারী) জহিরুল ইসলাম জহির লাঙল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩৬৮ ভোট, বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি মনোনীত গোলাম নওজব চৌধুরী হাতুড়ী প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২শত ৬৫ ভোট, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল ( জাসদ) মনোনীত মো. মঞ্জুর হোসেন মশাল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১শত ৫৩ ভোট এবং বাংলাদেশ কংগ্রেস মনোনীত রুপা রায় ডাব প্রতীকে পেয়েছেন ১০৫ ভোট। নির্বাচনে প্রদত্ত ভোটের শতকরা হার ৪২.০৬ শতাংশ
প্রসঙ্গত, মির্জাপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর এনায়েত হোসেন মন্টু চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করে এই নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নেন। নির্বাচনে অংশ নিয়ে তিনি নৌকার মনোনয়ন না পাওয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মীর শরীফ মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার তাহরিম হোসেন সীমান্ত, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আবুল কালাম আজাদ লিটন, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য দুই সদস্য ড. খন্দকার এ হাফিজ ও রাফিউর রহমান ইউসুফজাই সানির সমর্থন পান। এছাড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ( ভারপ্রাপ্ত) মীর্জা শামীমা আক্তার শিফা, ভাইস চেয়ারম্যান আজহারুল ইসলাম, মির্জাপুর পৌরসভার মেয়র সালমা আক্তার এবং সর্বশেষ জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থীরও সমর্থন পান। এছাড়া বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর এনায়েত হোসেন মন্টু আওয়ামী লীগের একজন প্রবীণ নেতা। টানা ৫ বার উপজেলার গোড়াই ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্ব পালন এবং টানা ৩ বার মির্জাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন তিনি। এতেকরে নৌকার প্রার্থীর জন্য একটি চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় এবং নির্বাচনটি তুমুল প্রতিযোগিতাপূর্ণ হবে বলেই মনে করছিলেন সবাই।
নৌকার বিজয়ী প্রার্থী খান আহমেদ শুভ তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের বলেন, দলীয়ভাবে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নির্বাচনে অংশ গ্রহণে বাধা না থাকায় নতুন একটি অভিজ্ঞতা হয়েছে। বাংলাদেশ আওয়ামী একটি শক্তিশালী একটি দল। তৃণমূলের নেতাকর্মীরাই আওয়ামীলীগের মূল শক্তি। নৌকার প্রতি তাদের সকলের যে আস্থা, বিশ্বাস এবং সচেতনতা নৌকার এই বিজয়ের মাধ্যমে সেটি প্রমাণিত হলো।