1. info@mirzapurpratidin.com : admin :
  2. news@mirzapurpratidin.com : mirzapur mirzapur : mirzapur mirzapur
শিরোনামঃ
মির্জাপুরে অবৈধভাবে মাটি কাটার দায়ে ৬ জনকে অর্থদণ্ড মির্জাপুরে সন্তানসহ এক বৌদ্ধ পরিবারের ইসলাম ধর্ম গ্রহণ মির্জাপুরে আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত মির্জাপুরে ভবানী প্রসাদ সাহা সরকারি কলেজ আয়োজিত জুলাই- আগস্টে শহীদ ও আহতদের স্বরণে স্বরণ সভ মির্জাপুরে ইংরেজি শিক্ষায় ভীতি দূর করতে ওয়ার্ড মাস্টার প্রতিযোগিতা মির্জাপুরে অসামাজিক কাজ বন্ধে তৌহিদী জনতার বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ মির্জাপুরে জুলাই-আগস্ট ২০২৪ শহীদ ও আহতদের স্বরণে স্বরণসভা মির্জাপুরে জামায়াতের জনসভা মির্জাপুরে ২০ অবৈধ কয়লা চুল্লি ধ্বংস, ৭০হাজার টাকা জরিমান মির্জাপুরে বাজার মনিটরিং ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের জরিমানা

পিলু, বিলু ও কাঁটানটে- আবু রেজা

  • আপডেট টাইম : Sunday, May 23, 2021
  • 887 বার

বাবা বাজার করে এনেছেন। বাজার বাসায় রেখেই অফিসে চলে গেছেন। মা চলে গেছেন স্কুলে। ফুপির হাতে অনেক কাজ। ফুপি তাই পিলু বিলুকে বললেন, লালশাকগুলো বেছে ফেল তো! তাই পিুল বিলু লালশাক বাছার কাজে হাত লগিয়েছে।
পিুল বিলু লালশাক বাছছিল। এর মধ্যেই ফুপি ডেকে বললেন, পিলু দাদিকে ওষুধটা দিয়ে আয় তো। আর দেখিস, জগে পানি আছে কিনা? না থাকলে, পানিও দিস।
পিলু দাদিকে ওষুধ দিল। জগে পানি ভরে দিল। তারপর আবার লালশাক বাছার কাজে হাত লাগাল।
ততক্ষণে বিলু বিরক্ত হয়ে গেছে। আপন মনে বলছে, আজ কেন যে বুয়া এলো না, বুঝলাম না!
একথা শুনেই পিলু বলল, বুয়া বলো না। শোননি, সেদিন মা বললেন, ওদেরকে গৃহকর্মী বলতে হবে। বুয়া বলা যাবে না।
বিলু রেগে রেগে বলল, তা যাই হোক। ও আসেনি বলেই তো আমাদের শাক বাছতে হচ্ছে!
পিলু বয়সে বিলুর চেয়ে বড়। তাই ওর পাকামিটাও একটু বেশি। ও বিজ্ঞের মতো বলল, বিরক্ত হয়ো না। সবাইকে সব কাজ করতে হয়, সব কাজ শিখতে হয়। কাজ না করলে শিখবে কী করে?
কথা থামিয়ে দু’জনেই কাজে মন দিল। লালশাক বাছতে বাছতে বিলু একটা সবুজ গাছ পেল। পিলুকে দিখিয়ে জানতে চাইল, এই গাছটার নাম কী?
পিলু বলল, আমি জানি না। তুমি ফুপিকে জিজ্ঞেস করো।
বিলু দৌড়ে ফুপির কাছে চলে গেল। জানতে চাইল, এই গাছটার নাম কী?
ফুপি বললেন, বই-পুস্তকে লেখা হয় কাঁটানটে। আমরা বলি নটেশাক।
বিলু ফিরে এসে পিলুকে বলল, ফুপি বলেছেন এর নাম কাঁটানটে।
এই বলে বিলু কাঁটানটেকে পাশে সরিয়ে রেখে আবার লালশাক বাছতে শুরু করল।
হঠাৎ বিলু শুনতে পেল, চিকন গলায় কে যেন বলছে, আপু… আপু…। সে পিলুর দিকে তাকেিয় দেখল। না পিলু তো ডাকছে না। বিলু পিলুর চেয়ে বয়সে ছোট হলেও মাঝ মাঝে আহ্লাদ করে পিলু বিলুকে আপু বলে ডাকে। বিলু এদিক সেদিক তাকাল। তাকে আপু বলে ডাকছে বা ডাকতে পারে এমন কাউকে দেখতে পেল না।
বিলু কাজে মন দিল। আবার শুনতে পেল, চিকন গলায় কেউ একজন বলছে, আপু… আপু…। আবার পিলুর দিকে তাকিয়ে দেখল। এদিক-সেদিক তাকাল। এমন কাউকে দেখতে পেল না যে তাকে আপু আপু বলে ডাকতে পারে। পিলুকে জিজ্ঞেস করল, এই তুমি একটু আগে আমাকে আপু আপু বলে ডেকেছ?
পিলু বলল, না তো। তুমি তো আমার কাছেই আছ। তোমাকে আমি এখন আপু আপু বলে ডাকব কেন?
বিলু বলল, তাহলে কি বাইরে থেকে কেউ ডাকছে?
পিলু বলল, দেখে আয় তো।
বিলু দরজা খুলে বাইরে দেখল। বারান্দায় গিয়ে আশেপাশে দেখল। জানালা দিয়েও উঁকি দিল। ফিরে এসে বলল। কই কোথাও তো কেউ নেই!
বিলু আবার কাজে মন দিল। আবারও একই ডাক শুনতে পেল। এবার ভালো করে কান পেতে শোনার চেষ্টা করল- কোত্থেকে আওয়াজটা আসছে! সে বলল, আওয়াজটা ঘরের ভিতর থেকেই আসছে।
কিন্তু পিলু কোনো আওয়াজ শুনতে পাচ্ছে না। সে বলল, আন্দাজে! কি না কি শুনছিস!
বিলু বলল, সত্যি বলছি। আমি স্পষ্ট শুনতে পাচ্ছি আপু আপু বলে কে যেন ডাকছে।
এবার আওয়াজটা আরেকটু জোরে হলো। বিলুর মনে হলো, আওয়াজটা আসছে কাঁটানটের কাছ থেকেই! সে অবাক হয়ে ভাবল, সত্যি গাছ কথা বলতে পারে! আম্মু বলেছিলেন, বাঙালি এক বিজ্ঞানী আবিষ্কার করেছেন, গাছেরও প্রাণ আছে। গাছেরাও নিজেদের মধ্যে ভাব বিনিময় করে।
বিলু বলল, তুমি কে?
কাঁটানটে বলল, আমি কাঁটানটে। এছাড়াও আমার আরো নাম আছে। একেক এলাকার মানুষ আমাকে একেক নামে ডাকে।
বিলু বলল, আমাকে আপু আপু বলে ডাকছ কেন?
কাঁটানটে বলল, আমাকে তুমি লালশাক থেকে আলাদা করে রেখেছ। আমাকে কি নেবে না?
বিলু বলল, দেখ, তোমাকে আমি ভালো করে চিনি না। ফুপিকে জিজ্ঞেস করব তোমাকে নেয়া যাবে কিনা।
কাঁটানটে বলল, আমাকে নাও না গো, প্লিজ! আমি তো মানুষের কোনো ক্ষতি করি না। তুমি কখনো কাঁটানটে শাক খেয়েছ?
বিলু বলল, না খাইনি।
কাঁটানটে বলল, তোমাদের তো লালশাক বেশি পছন্দ। সবুজশাক খেতেই চাও না। শোন, সবুজশাকও অনেক উপকারী।
বিলু বলল, তাই নাকি? ঠিক আছে এখন থেকে সবুজশাকও খাব।
কাঁটানটে বলল, তাহলে আমাকে নিয়ে নাও। আমি রস হয়ে তোমাদের শরীরে মিশে থাকব। তবেই তো আমার জীবন সার্থক হবে।
এমন সময় ঘরে ঢুকলেন ফুপি। ফুপিকে দেখেই পিলু বলল, দেখ না ফুপি বিলুর মাথাটাই নষ্ট হয়ে গেছে। কি সব পাগলের মতো বকছে!
বিলু বলল, ফুপি তুমি ওর কথা শোনো না। ও আজেবাজে বকছে। তার চেয়ে বলো, নটেশাকটা কি লালশাকের সঙ্গে নেয়া যাবে?
ফুপি হেসে বললেন, অবশ্যই নেয়া যাবে। নটেশাক খুবই মজার। আর অনেক উপকারিও বটে।
বিলু বলল, তাহলে আমাদের জন্য একদিন নটেশাক এনো কিন্তু!
ফুপি বললেন, এখানে তো পাওয়া যাবে না। দেখি, তোমার ছোট কাকাকে দিয়ে গ্রাম থেকে আনানো যায় কি না।
এই বলে ফুপি চলে গেলেন। বিলু কাঁটানটে শাকটা বেছে লালশাকের সঙ্গে রেখে দিল।
কাঁটানটের পাতাগুলো মিষ্টি হেসে বিলুকে বলল, তোমাকে অনেক ধন্যবাদ।
বিলুও বলল, তোমাকেও অনেক ধন্যবাদ। তোমার সঙ্গে কথা বলে ভালো লাগল। তোমার থেকে অনেক কিছু জানলাম।
বিলুর কথা শুনে পিলু বিলুর দিকে অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল!

নিউজটি শেয়ার করুন..

3 responses to “পিলু, বিলু ও কাঁটানটে- আবু রেজা”

  1. Jiscopy says:

    priligy online pharmacy Kolonel LN, Nomura AM, Cooney RV

  2. A polynucleotide encoding full length Nov is isolated by PCR from a human cDNA library and cloned into the multi cloning site of the plasmid vector pcDNA3 Invitrogen, Carlsbad, Calif how to buy generic cytotec prices The flavonoid catechin has helped people with acute viral hepatitis, as well as people with chronic hepatitis

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 Mirzapurpratidin এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ভিডিও বা ছবি অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি
Site Customized By NewsTech.Com